This is Tarapith Blog
Visit Our Main Website www.Tarapith.in

Friday 31 March 2017

#

মহাতীর্থ কালীঘাট সম্পর্কে ১০টি তথ্য।


১. কালীঘাটের বর্তমান মন্দির দুশো বছরের বেশি পুরনো নয়। হাটখোলার দত্ত পরিবারের কালীপ্রসাদ দত্ত এবং বড়িশার সাবর্ণ রায়চোধুরী পরিবারের সন্তোষ রায়চৌধুরী এই মন্দির নির্মাণ করান।
২. কালীঘাট তীর্থের উল্লেখ রয়েছে ১৫ শতকের মনসা ভাসানের গানে। ১৭ শতকের ‘কবিকঙ্কন চণ্ডী’-তেও এর উল্লেখ রয়েছে। তবে এই তীর্থের বয়স আরও বেশি বলেই মনে করেন গবেষকরা। আদিতে এটি একটি পর্ণকুটির ছিল। ১৬ শতকে রাজা মানসিংহ প্রথম একটি পাকা মন্দির নির্মাণ করান।
৩. কালীঘাটকে সতীর একান্নপীঠের অন্যতম ধরা হয়। সে দিক থেকে দেখলে এর প্রাচীনত্ব আরও বেশি।
৪. কালীঘাটের মাতৃমূর্তির সঙ্গে অন্য কোনও কালীমূর্তির কোনও মিল নেই। এই মূর্তি অনন্য।

৫. একান্ন পীঠ বলে পরিচিত তীর্থগুলিকে বজ্রযানী বৌদ্ধ তীর্থ হিসেবে অনেকে মনে করেন। এবং প্রতিটি তীর্থেই কোনও না কোনও প্রস্তরকে দেবীরূপে পূজা করা হয়। সেদিক থেকে দেখলে কালীঘাটের কালীমাতাও শিলাস্বরূপা।
৬. মাতৃমূর্তির বর্তমান রূপটি দান করেন ব্রহ্মানন্দ গিরি ও আত্মারাম গিরি নামের দুই সন্ন্যাসী।
৭. কলকাতা অঞ্চলে প্রাচীন নাথ ধর্মের বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল বলে অনেকে মনে করেন। ‘চৌরঙ্গী’ নামটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নাথ-কিংবদন্তি। কালীঘাটের সঙ্গে নাথপন্থীদের নিবিড় সম্পর্ক ছিল বলে অনেক গবেষক অনুমান করেন।

৮. কালীঘাটের কালীর ভৈরব হলেন নকুলেশ্বর মহাদেব। তাঁর মন্দির কালীমন্দিরের কাছেই। আগে এই স্থান গভীর জঙ্গলে আকীর্ণ ছিল।
৯. কালীঘাট মন্দিরের সংলগ্ন ১০ কাঠার একটি পুকুর রয়েছে। কথিত আছে, এই পুকুর থেকেই সতীঅঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই পুকুরের নাম ‘কু‌ণ্ড পুকুর’ বা ‘কুন্ডু পুকুর’। এর জলকে গঙ্গাজলের তুল্য পবিত্র ধরা হয়।
১০. ইংরেজ আমলে কালীঘাটের অন্য প্রতিপত্তি বাড়ে। এক একটা বড় কারণ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শ্বেতাঙ্গ কর্মচারীরা নিয়মিত এই মন্দিরে আসতেন এবং একপ্রকার বিশ্বাস থেকে পুজোও দিতেন। হিন্দু মন্দিরে ইউরোপীয়দের আগমন তেমন সুলভ ছিল না সেযুগে। কিন্তু কালীঘাটে সেটা নিয়মিত হয়ে ওঠে।      

No comments:

Post a Comment

Follow Us on Facebook @Tarapith.Official